বারবার হুঁশিয়ারি দেয়ার পরও মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে যাওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক ১২ কাউন্সিলরের কয়েকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ গুরুতর নানা অভিযোগ। এছাড়া প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই আওয়ামী লীগের একাধিক ব্যক্তি কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। বার বার বলার পরও মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাবের আহমেদ সওদাগার। এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর তৌফিক আহম্মেদের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলা। নিজের অস্ত্র দিয়ে মহড়াসহ নানান অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে তার লাইসেন্স করা বিদেশি রাইফেলসহ দুইজনকে আটকও করেছিল র্যাব।
সাবের আহমেদ সওদাগার, তৌফিক আহম্মেদের মতো আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়া এমন ১২ জন দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলা। আবার কারও বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি বা জমি দখলের অভিযোগ।
নির্বাচনের আগে প্রায়ই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘটছে দলের মনোনীত ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা। বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলছেন এলাকাবাসীর দাবির কারণেই তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে থাকবেন বা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এমনকি যারা দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করবে তারা ভবিষ্যতে আর নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে না বলেও জানান মাহবুব উল আলম হানিফ।
আগামী ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।