মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যেই সেপ্টেম্বরে শ্রীলংকা সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। করোনার সংক্রমণ এড়াতেই যাত্রীবাহী বিমানের পরিবর্তে ক্রিকেটারদের শ্রীলংকায় নেয়া হবে চার্টার্ড প্লেনে।
মঙ্গলবার দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেয়া সাক্ষাতকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, সফর নিয়ে শ্রীলংকার সঙ্গে প্রতিদিনই আমাদের কথা হচ্ছে। আমরা হয়তো চার্টার্ড প্লেনেই যাব। কারণ বিমানবন্দর এবং বিমান দুটোই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ।
শুধু চার্টার্ড প্লেনেই নয়, শ্রীলংকা সফরে গিয়েও করোনার সংক্রমণ এড়াতে ক্রিকেটারদের বাড়তি নিরাপত্তায় রাখা হবে।
এমনটি জানিয়ে পাপন আরও বলেছেন, শ্রীলংকার একটি পাঁচতারকা হোটেলের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের সব শর্ত মেনে নিয়েছে। হোটেলের দুটি ফ্লোর আমাদের ক্রিকেটারদের জন্য ছেড়ে দেয়া হবে। সেখানে সবাই থাকবে, খাওয়া-দাওয়া করবে। হোটেলের যেসব স্টাফ, ক্লিনার কাজ করবে তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হবে। তারা ওই দুই ফ্লোরের বাইরে যেতে পারবে না।
তিনি আরও বলেছেন, ক্রিকেটাররা যে কয়দিন হোটেলে থাকবে হোটেলের সুইমিংপুল ও জিমনেশিয়াম শুধু ওরাই ব্যবহার করবে। অন্য কোনো অতিথি এগুলো ব্যবহার করতে পারবে না। তিনটি লিফটের মধ্যে একটা শুধু আমাদের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে।
আগামী মাসের শেষদিকে শ্রীলংকা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। লংকান বিমানে ওঠার ১০ দিন আগে অনুশীলন শুরু হবে টাইগারদের।
এ ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, আমরা চাইলে খেলোয়াড়দের আরও আগে মাঠে নামাতে পারতাম। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, এটা উচিত হবে না। সবার ঘরে থাকা উচিত। আমাদের ফিজিও, ট্রেনার ওদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছেন। বিশেষ অ্যাপ দিয়ে আমরা সার্বক্ষণিক বিসিবির অধীনে থাকা সব ক্রিকেটারের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রেখেছি। সেপ্টেম্বরের ২০-২১ তারিখে হয়তো দলীয় অনুশীলন শুরু হবে। এর ৮ থেকে ১০ দিন পর দল শ্রীলংকা সফরে যেতে পারে।