চার ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে প্রায় ছিটকে পড়তে যাচ্ছিল আসরের ফেভারিট প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
বুধবার রাতের ম্যাচে বাঁচামরার লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিলেন থমাস টুখেলের শিষ্যরা। আর সেই ম্যাচে ত্রাতা হয়ে দেখা দেন দলটির সেরা তারকা ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার।
জোড়া গোল করে জয় ছিনিয়ে এনে প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়া থেকে দলকে বাঁচালেন তিনি। নেইমারের অসাধারণ নৈপুণ্যে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে স্বাগতিক ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।
এই জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখল প্যারিসের এ দলটি।
বুধবার শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে কেবল ড্র করলেই চলত ম্যানইউর। তাই অনেকটা চাপমুক্ত হয়েই নেইমারদের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে নামেন রেড ডেভিলরা।
কিন্তু ৬ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। অবশ্য গোলের নেপথ্য নায়ক কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার নেয়া জোরালো শট ম্যানইউ গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার হাতে জমাতে ব্যর্থ নয়। হাত ফসকে তা চলে যায় গোলপোস্টের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা নেইমারের পায়ে। খুব সহজেই বলটিকে জালে জড়িয়ে দেন নেইমার।
সমতায় ফিরতে ম্যানইউ সময় নেয় ২৬ মিনিট। অর্থাৎ ম্যাচের ৩২ মিনিটে বক্সের মধ্যে দানিলোর পায়ে লেগে বল চলে যায় ম্যানইউর মার্কাস রাশফোর্ডের কাছে। কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন রাশফোর্ড।
এর পর ম্যানইউ বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করলেও কোনোটিকেই জালে জড়াতে পারেনি।
১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ব্যবধান বাড়ান পিএসজির মার্কুইনহোস আলতো।
ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলকে বক্সের মধ্যে পেয়ে মার্কুইনহোস আলতো করে ঠেলে দেন ম্যানইউর জালে।
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে রাফিনহার চমৎকার এসিস্টে গোল করেন নেইমার। ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
পিএসজির এই জয়ের ফলে এইচ গ্রুপে তিন দলের (ম্যানইউ, পিএসজি ও আরবি লেইপজিগ) পয়েন্ট সমান ৯ করে।
যদিও গোল ব্যবধানে শীর্ষে ম্যানইউ, দ্বিতীয় স্থানে পিএসজি।
আগামী সপ্তাহে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ইস্তানবুল বাশাখশেয়ারকে ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে নেইমারের পিএসজি।