দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগটাও হারাচ্ছেন নেইমার। অপয়া ইনজুরি কেড়ে নিচ্ছে তার ব্রাজিলের হয়ে খেলার ইচ্ছে।
দুঃসংবাদ যেন কোনোভাবেই পিছু ছাড়ছে না পিএসজি তারকার। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৌসুমের শুরুর কয়েকটি ম্যাচে খেলা হয়নি তার। এরপর সুস্থ হয়ে ফিরে মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচেই অলিম্পিক মার্শেইয়ের ডিফেন্ডার আলভারো গঞ্জালেসকে থাপ্পড় মেরে হন নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারো ফিরেছেন মাঠে। তবে এবার পড়েছেন ইনজুরির খড়গে।
করোনা পরবর্তীতে ক্লাব ফুটবল শুরু হলেও, দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক ফুটবল। করোনার আগ্রাসনে কয়েকদফায় পেছানোর পর অবশেষে শুরু হচ্ছে ল্যাতিন অ্যামেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ। সেই ম্যাচগুলোতে খেলতে এরইমধ্যে ফ্রান্স ছেড়ে ব্রাজিলে পৌঁছেছেন নেইমার। তবে অনুশীলনে নেমেই আবারো ইনজুরিতে পড়েছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। দলের সঙ্গে বুধবার অনুশীলনে নেমে শুরুতেই ছেড়েছেন মাঠ। ব্যাকপেইনটা বেশ ভোগাচ্ছে তাকে। ফলে শঙ্কায় পড়েছে আগামীকাল (শুক্রবার) বলিভিয়ার বিপক্ষে তার ম্যাচ খেলা নিয়ে।
এরইমধ্যে নেইমারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল দলের চিকিৎসক রদ্রিগো ল্যাসমার। তবে এখনই বলা যাচ্ছেনা সাও পাওলোতে অনুষ্ঠেয় ম্যাচে খেলতে পারবেন কিনা।
ল্যাসমার বলেন, অনুশীলনে পিঠের নিম্নাংশে ব্যথা অনুভব করেন নেইমার। পরে ট্রেনিং না করেই সে চলে যায়। আমরা তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। এরইমধ্যে তার চিকিৎসাও শুরু হয়ে গেছে। আমরা আজই (বুধবার) সাও পাওলোতে চলে যাচ্ছি। কিন্তু সে এখানেই (রিও) থাকবে এবং চিকিৎসা নেবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের ফুটেজে দেখা যায়, নেইমার তার পিঠে হাত রেখে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
ড. রদ্রিগো ল্যাসমার আরো বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখবো সে কতোটা রিকভার করতে পারে! ম্যাচের আগে আরেকবার তাকে আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। এরপর সে নিজেই বলতে পারবে, ম্যাচে খেলার মতো অবস্থায় সে আছে কিনা!
এরইমধ্যে সেরা একাদশের দু’জন গোলকিপার অ্যালিসন ও স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে হারিয়েছে ব্রাজিল। ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলতে পারবেননা তারা। এরমধ্যে নেইমারও খেলতে না পারলে বিপদেই পড়ে যাবে ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।