মাঝে-মধ্যে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু কাজে জড়িয়ে যেতে হয়, যেটা নিয়ে পরে সমালোচনারও শিকার হতে হয় মানুষকে। পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বাবর আজমও ঠিক তেমনই একটা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়লেন এবার। মদ কোম্পানির লোগো সম্বলিত জার্সি পরে সমালোচনার শিকার হলেন তিনি।
তবে বিষয়টা ভাইরাল হয়ে তুমুল সমালোচনার পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর বাবর আজম স্রেফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আর কখনও মদের কোম্পানির লোগো সম্বলিত জার্সি পরবেন না। তাতে যদি কোনো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়, তবুও হবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক হাশিম আমলা বারবার অ্যালকোহলের বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানাতেন কিংবা তার মদ কোম্পানির লোগো সম্বলিত জার্সি পরতেন না। যে কারণে তার ম্যাচ ফি’র নির্দিষ্ট একটা অংশ কেটে রাখা হতো। একই পরিস্থিতির মুখোমুখি বাবর আজম। তবুও তিনি জানালেন, মদ কোম্পানির লোগো সম্বলিত জার্সি পরবেন না।
কয়েকদিন আগেই ব্যাট হাতে বিরাট কোহলির রেকর্ড ছুঁয়ে শিরোনাম হয়েছিলেন বাবর। কিন্তু জার্সিতে মদ কোম্পানির লোগোর কারণে সমালোচনার শিকার হলেন।
মূলতঃ ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব সামারসেটের হয়ে খেলেন বাবর। তাদের জার্সিতেই ছিল মদ কোম্পানির লোগো। বাবর জানালেন, এবার তিনি সেই জার্সি গায়ে চাপাতে রাজি নন। জানা গেছে, বাবরের ইচ্ছের সম্মান জানিয়েছে কাউন্টি ক্লাব সমারসেটও।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ শেষ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে খেলার জন্য সামারসেটে যোগ দেন বাবর। সেখানেই প্রথম ম্যাচে দেখা যায়, পাক অধিনায়কের জার্সিতে একটি মদের কোম্পানির লোগো।
পাকিস্তানের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ক্যাপ্টেনের জার্সিতে এই লোগো চোখে পড়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। জানা গেছে, আগেই নিজের অবস্থান ক্লাবের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন বাবর। জানিয়ে দেন, জার্সি গায়ে চাপিয়ে তিনি কোনও মদের ব্র্যান্ডের প্রচার করতে রাজি নন। তাই তার জার্সিতে যেন এমন কোনও লোগো ব্যবহার না করা হয়। ক্লাবের পক্ষ থেকে বাবরের আবেদন মেনে নেওয়া হয়েছিলও।
তাহলে কিভাবে জার্সিতে এল ওই লোগো? জানা গেছে, সামারসেটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভুলবশতই নাকি বাবরের জার্সিতে ওই লোগো থেকে গেছে। একইসঙ্গে ক্লাব নিশ্চিত করেছে, পরের ম্যাচের আগেই মদের ব্র্যান্ডের লোগোটি সরিয়ে দেওয়া হবে।
বাবরই প্রথম নন, এর আগে হাশিম আমলা, ইমরান তাহির, মঈন আলি, আদিল রশিদসহ বহু মুসলিম ক্রিকেটার মদের কোম্পানির প্রচারের থেকে নিজেদের বিরত রাখেন।