ads
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নবীন কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্বৈরাচারের দোসর আরও ৩৯ আমলার দ্রুত অপসারণ দাবি জুলাই ঐক্যের ধর্ষণের পর গর্ভপাত: সালিশে ব্যর্থ, মামলাও নেয়নি পুলিশ হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলের ব্যয় দিনে ২০০ মিলিয়ন ডলার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা বিপজ্জনক নজির: জাতিসংঘে চীনা দূত বেদখল খাসজমি উদ্ধারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ভূমি উপদেষ্টার বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর অভিযান, ৯ সন্ত্রাসী আটক দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু শ্রীবরদীতে মাছের ঘেরে ২ শিশুর মরদেহ, দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড!

শিক্ষার্থীদের ‘অটো পাস’ পদ্ধতির সমালোচনা করলেন রিজভী

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৩৫ বার পঠিত

করোনাকালীন বিরূপ বাস্তবতায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের ‘অটো পাস’ দেওয়ার পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সমালোচনা করেন রিজভী।

এসময় রিজভী বলেন, ‘কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বের সব দেশই একটি অপ্রত্যাশিত সময় পার করছে। কোয়ারেন্টিন কিংবা লকডাউন দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এখন দেশে চলছে ভ্যাকসিন কেনার প্রস্তুতি ও প্রতিযোগিতা। করোনাভাইরাসের কারণে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চালু রেখেছে। অনলাইন অথবা অন্য কোনো বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা অব্যাহত রেখেছে। গ্রেট ব্রিটেন, ভারত, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বা যুক্তরাষ্ট্রসহ কোনো দেশেই করোনাকালীন বাস্তবতায় অটো পাস দেওয়া হয়নি। সব দেশেই শিক্ষার্থীর মেধার মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষার বিকল্প শুধু পরীক্ষাই রাখা হয়েছে, অন্য কিছু নয়।’

বাংলাদেশ সম্পূর্ণ উল্টোপথে চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘সব চলছে করোনাভাইরাসের অজুহাতে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে রাখা রয়েছে। সরকার সারাক্ষণ ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান দিচ্ছে। তাহলে বাসায় থেকে কিংবা অন্য কোনো বিকল্প পদ্ধতিতে কীভাবে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারে, সে ব্যাপারে সরকার কি আদৌ কোনো পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে? তা না করে অটো পাস আর ফটোকপির পাস এসব করে সরকার একটি প্রজন্মকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘দেশের লাখো-কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের কোনো ভিশন নেই বলেই লাখ লাখ শিক্ষার্থী অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। অথচ অফিস, আদালত, শিল্প, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন সবকিছুই খুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে জ্যামিতিক হারে। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।’

বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘করোনা নিয়ে সরকার তথ্য গোপন করে অতি সামান্য আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করছে। সাধারণ মানুষ বিনা চিকিৎসায় ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন, হাসপাতালের বেড ইত্যাদির অভাবে কাতরাচ্ছে। ঢাকাসহ কোথাও আইসিইউ খালি নেই। অক্সিজেনের অভাবে মায়ের কোলেই সন্তান মারা যাচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে করোনা রোগীকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকারের কোনো দায়িত্ব নেই। সরকার যেন চোখ বুজে ধ্যান করছে।’

রিজভী বলেন, ‘শুরু হলো মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তীর ক্ষণগণনা। গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ন্যায়বিচার এই মূলমন্ত্রে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। বিজয়ের এই ৫০ বছরের যাত্রাকালে দেখছি, রাষ্ট্র ও সমাজে আবারও একদলীয় কর্তৃত্ববাদী নিষ্ঠুর শাসনের উত্থান এবং বেপরোয়া দুর্নীতির উন্নয়নের মহামারি। সরকার ব্ল্যাক-আউট করে দিয়েছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার, নিরুদ্দেশ হয়েছে গণতন্ত্র। ভোটাধিকার, মানবাধিকার অন্ধকার গোরস্তানে শায়িত করা হয়েছে।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিজয়ের ৪৯ বছর পরও দেশের বর্তমান বাস্তবতা হলো, স্বাধীন দেশের নাগরিকরা নিজ দেশেই পরাধীন। শুধু নিজ দেশে পরাধীনই নয়, ধীরে ধীরে দেশের ভৌগলিক স্বাধীনতাকেও হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। একটি রাষ্ট্র কতটা উন্নত, সভ্য ও টেকসই, সেটি নির্ভর করে একটি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণে কতটা স্বাধীন, তার ওপর। কোনো রাষ্ট্র যদি উল্টো পথে চলার চেষ্টা করে কিংবা সরকার যদি স্বৈরাচারী কিংবা গণবিরোধী হয়ে ওঠে, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সরকারকে সঠিক ধারায় ফেরাতে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রের স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ বিশ্ববাসী দেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট অসীম ক্ষমতার অধিকারী হলেও দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেখিয়েছে আইনগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রেসিডেন্টের চেয়েও শক্তিশালী, স্বাধীন ও স্বতন্ত্র। অথচ বাংলাদেশে ঠিক এর উল্টো চিত্র। নিজেদের সাংবিধানিক দায়িত্ব ভুলে গিয়ে সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে।’

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102