রাজধানীর শাহবাগের পরীবাগে সুপার হোম হোস্টেলে তিন বছর ধরে একাকী জীবন-যাপন করতেন কবি হেলাল হাফিজ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সেখানে তিনি মারা যান।
দুপুরে সুপার হোম হোস্টেলের শৌচাগার থেকে কবি হেলাল হাফিজকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেন অন্য কক্ষের সদস্যরা। এ সময় তিনি মেঝেতে পড়ে ছিলেন এবং তার মাথা ফেটে রক্ত পড়ছিল।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খলিল মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বাংলানিউজকে জানান, কবি হেলাল হাফিজ গত তিন বছর ধরে ওই হোস্টেলে একা জীবন-যাপন করছিলেন। আজ দুপুরের দিকে তিনি হোস্টেলের কমন বাথরুমে যান।
তিনি বলেন, অনেকক্ষণ ধরে কবির সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোস্টেলের অন্য কক্ষের সদস্যরা হোস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীসহ বাথরুমের দরজা ভাঙেন। এ সময় তারা কবি হেলাল হাফিজকে বাথরুমের মেঝেতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তারা কবিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে তার মরদেহ সেখানেই রয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ওই হোস্টেলে যাই। আমরা সিসিটিভি ফুটেজসহ ঘটনাস্থল দেখেছি। ধারণা করছি, তিনি স্বাভাবিকভাবেই মারা গেছেন। কবির আত্মীয়-স্বজনেরাও ভিডিও দেখেছেন।
তিনি আরও জানান, আজ কবি হেলাল হাফিজের মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে রাখা হবে। আগামীকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা হবে।