বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজত নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত:-
শাসকগোষ্ঠী যদি জনগণের সেবক হয়! সেক্ষেত্রে সময়ভেদে প্রয়োজনবোধে সামষ্টিক স্বার্থে অরাজনৈতিক ব্যানারে বিভিন্ন নৈতিক দাবী উত্থাপন করে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনার সুযোগ আছে, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চমৎকার ভাবে কার্যকরী হওয়ার নজির রয়েছে।
তবে শাসকগোষ্ঠী যদি নীতির চর্চা ব্যতিরেকে পলিটিক্যাল সন্ত্রাসের বশবর্তী হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চেপে বসে,সেক্ষেত্রে নৈতিকতা মূল্যহীন। তখন অরাজনৈতিক ব্যানারে নীতি কথা ও যুক্তিক আন্দোলন পন্ডশ্রম হিসেবেই বিবেচ্য।সেক্ষেত্রে,নাগরিক অধিকার প্রতিষ্টা কিংবা বৃহত্তর স্বার্থ সুরক্ষার নিমিত্তে দুঃশাসন কিংবা অপরাজনীতিকে রাজনৈতিক পন্থায় মোকাবিলা অবশ্যম্ভাবী।
উপরিউক্ত পরিস্থিতিতে নিতান্তই যারা রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান, তারা দায় সারানোর জন্যে মাঝে মধ্যে অরাজনৈতিক ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন, কিংবা নীরব মানববন্ধন করার সুযোগ রয়েছে! এতে শাসকগোষ্ঠীর নীতির পরিবর্তন আশা করাটা খানিকটা বোকামি হিসেবেই গণ্য হবে, এটি কেবলই নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করার নিমিত্তে হবে। বলাবাহুল্য, এই ধরনের অরাজনৈতিক সংগঠন কোন দাবীতে অপরিকল্পিত ভাবে রাজপথে হরতাল, অবরোধ কিংবা দেশব্যাপী কোন ধরনের কর্মসূচি দিলে সেটা হবে আত্মঘাতী এবং জনগণের জন্য হবে অভিশাপ।
উল্লেখ্য, অপশাসন-অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কামিয়াবি হাসিল করতে হলে অবশ্যই রাজনৈতিক পন্থা অবলম্বন করতে হবে। অরাজনৈতিক ইশতেহারে গঠিত সংগঠনের ব্যানারে পলিটিক্যাল সন্ত্রাসের লাগাম টেনে ধরা বৃথা অনুনয়।
পরিশেষে বলাই যায়, যাদের মধ্যে রাষ্ট্রের শাসনভার পরিচালনা করার আগ্রহ এবং যোগ্যতা রয়েছে কেবল তাদের পক্ষেই অপশাসনের লাগাম টেনে ধরার জন্য সব রকম আন্দোলন কর্মসূচি করা জায়েজ। অন্যথায়, অতিউৎসাহী ভাবনায় অপরিকল্পিত বিচ্ছিন্ন আন্দোলনে সাধারণ জনগণ এবং স্বীয় সমর্থকদের অনেক দুর্দশা পোহাতে হয় কামাখা।
আহ হেফাজত আহ!
পুনশ্চঃআমার লিখাটা রফিকুল ইসলাম নেত্রকোনার অনুরূপ ভাইদের জন্য উৎসর্গ করলাম।
লেখক: আলী আমজাদ খাঁন