ads
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন

ধনু নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে হাটবাজার ও ফেরিঘাট, হুমকিতে বিদ্যুতের টাওয়ার

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২২
  • ১৯ বার পঠিত

নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলায় শুকনো মৌসুমেও ধনু নদের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদের তীব্র স্রোতে বিলীন হচ্ছে মেন্দিপুর ও খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার, বাড়িঘর এবং ফেরিঘাট। হুমকিতে পড়েছে রসুলপুর গ্রামের ধনু নদের ওপর দিয়ে টানা পল্লী বিদ্যুতের তারের টাওয়ার।

সরজমিনে দেখা যায়, খালিয়াজুরীর মেন্দিপুর ইউনিয়নের সর্বশেষ গ্রাম হচ্ছে রসুলপুর। একেবারে ধনু নদের পাড় ঘেষা এই গ্রামের পাকা সড়ক এবং ফেরি ঘাটটির বেশির ভাগ অংশ ইতিমধ্যে ধনু নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পাকা সড়কটির একটি অংশ ভেঙে নদে পড়ে গেছে এবং ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদের এলাকা সম্প্রসারিত হলেও কমছে গ্রামের ফসলি জমি।

রসুলপুর ফেরিঘাটের দোকানদার আলী হোসেন বলেন, প্রতি বছরই খরস্রোতা ধনু নদের ভাঙনের কবলে এলাকা বিলীন হচ্ছে। জরুরিভাবে নদীভাঙন রোধ করা দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন। খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বার বলেন, প্রতি বছরই ধনু নদের ভাঙনে সড়ক এবং কৃষি জমি নদে বিলীন হচ্ছে। রসুলপুর ফেরিঘাট ইতিমধ্যে ধনু নদের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সড়ক ও ফেরি ঘাট রক্ষা করা জরুরি। তা না হলে ঘাটটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যাবে। খালিয়াজুরী উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার বলেন, ধনু নদের ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে রসুলপুরে অবস্থিত টাওয়ারটি। ইতিমধ্যে পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ টাওয়ারটি পরিদর্শন করেছেন এবং ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পত্র দেওয়া হয়েছে।

খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় খালিয়াজুরী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধনু নদের ভাঙনের বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে এবং লিখিতভাবেও জানানো হয়েছে। উন্নয়ন কমিটি থেকেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নেত্রকোনা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ধনু নদের ভাঙনের কবল থেকে রসুলপুর গ্রামের ফেরিঘাট, পাকা সড়ক এবং বিদ্যুতের টাওয়ার রক্ষা করতে হলে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিতে হবে। সার্ভে বা সমীক্ষা করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠালে অনুমোদেনের পর অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে ভাঙন রোধ করার কাজ করা যাবে।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Prayer Time Table

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১১
  • ১১:৫৯
  • ১৫:৪০
  • ১৭:১৯
  • ১৮:৩৮
  • ৬:৩৬
ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ওয়ালি উল্লাহ
নির্বাহী সম্পাদক
নিউজ রুম :০২-৯০৩১৬৯৮
মোবাইল: 01727535354, 01758-353660
ই-মেইল: editor@sristybarta.com
© Copyright 2023 - SristyBarta.com
Develop By : BDiTZone.com
themesba-lates1749691102