শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা কলেজের ভবনেই ৭০ মৌচাক। চারতলা এই ভবনের ছাদ, জানালার কার্নিশে চাক বাঁধা মৌমাছিগুলো বন মৌমাছি।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়। এ সংবাদ জানাজানি হওয়ার পর উৎসুক অনেকেই তা দেখতে ভবনের সামনে ভিড় করছেন।
জানা যায়, ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত নকলা উপজেলার কলেজের চারতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। এদিকে নকলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে সরিষার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। আর সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় শীত মৌসুমে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য দলবেঁধে এই এলাকায় অবস্থান করে থাকে। তবে সরিষার আবাদ শেষ হলেও মৌমাছিগুলো অন্যত্র যায় না।
বিগত ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর এই সময়ে মৌমাছির দল নকলার চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের ভবনে তৈরি করে মৌচাক। এদিকে কলেজে এতগুলো মৌচাক দেখতে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় করে উৎসুক জনতা।
চন্দ্রকোনা কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় চার বছর ধরে শীত মৌসুমে কলেজের চারতলা ভবনে মৌমাছি চাক বাঁধছে। প্রথম দিকে অল্পসংখ্যক চাক ছিল। তবে এ বছর মৌমাছির দল ৭০ থেকে ৭৫টি চাক বেঁধেছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত মধ্য ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলেজ ভবনে মৌমাছির দল চাক বেঁধে অবস্থান করে। চলতি মৌসুমে এসব চাক মৌয়ালদের কাছে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, শেরপুরের নকলার আবহাওয়া শর্ষে চাষের জন্য বেশ উপযোগী। চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ২ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে শর্ষের আবাদ হয়েছে। তাই শীত মৌসুমে নকলার চরাঞ্চলে মৌমাছি চাক করে থাকে। মৌমাছি মধু আহরণ করায় সহজে পরাগায়ণ ঘটে। ফলে শর্ষের উৎপাদন অনেক বেশি হয়।