ইউক্রেনে রণক্ষেত্রের সম্মুখভাগে সাফল্য পেয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক ইউক্রেনপন্থি টেলিগ্রাম চ্যানেলকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, রুশ সেনারা পূর্বাঞ্চলীয় ডনেস্ক অঞ্চলে একটি নতুন শহর দখল করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মস্কোর কৌশলগত পরিবর্তনের ফলে এই সাফল্য এসেছে।
ইউক্রেনপন্থি টেলিগ্রাম চ্যানেল ডিপস্টেট’র পোস্ট অনুযায়ী, রুশ সেনারা ভোভচে দখল করেছে এবং ইয়াসনোব্রোদিভকা, ক্রাসনোহোরিভকা, ডিব্রোভা এবং ঝেলান্নের কাছে অগ্রসর হয়েছে।
এই অগ্রগতির সমর্থনে চ্যানেলটি রণক্ষেত্রের সম্মুখভাগের একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে। কিয়েভপন্থি এক্স ব্যবহারকারী জার্গেন নাউডিট মানচিত্রের ছবির পাশে পোস্ট করেছেন, কিছু অংশে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) বলেছে, রুশ বাহিনী ফ্রন্টলাইন জুড়ে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে যাতে ইউক্রেনের অগ্রযাত্রা রোধ করা যায়।
আইএসডব্লিউ জানিয়েছে, ডনেস্ক অঞ্চলে রুশ বাহিনীর কেন্দ্রীয় গ্রুপিং অব ফোর্সেসের দায়িত্বের এলাকা সম্প্রসারিত হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, মস্কো পূর্বের কৌশল পরিবর্তন করেছে। যাতে বাহিনীকে শুধু আভদিভকা অঞ্চলে চলমান বাহিনী হিসেবে কাজ করতে না হয়।
গত সপ্তাহের শুরুর দিকে আইএসডব্লিউ জানিয়েছিল, ইউক্রেন কস্তিয়ান্তিনিভকার কাছে রুশ বাহিনীর আক্রমণ থামিয়ে দিয়েছে এবং এতে মস্কো অনেক সরঞ্জাম হারিয়েছে।
কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের প্রচেষ্টার মধ্যে রাশিয়া ডনেস্ক অঞ্চলের তিনটি মূল পয়েন্ট—চাসিভ ইয়ার, যা বাখমুতের পশ্চিমে অবস্থিত, তোরেৎস্ক শহর এবং ওচেরেটিনের পশ্চিমে এলাকায় অভিযান জোরদার করছে।
ইউক্রেনের ৪৭তম ব্রিগেডের এক ব্যাটালিয়ন কমান্ডার ওলেক্সান্ডার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, রাশিয়ার প্রথম লক্ষ্য আমাদের ধ্বংস করা। দ্বিতীয়টি হলো আমাদের পিছু হটতে বাধ্য করা যাতে তারা শান্তি আলোচনায় আরও প্রভাবশালী হতে পারে।
ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেছে, সবচেয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি পোকরোভস্কের কাছাকাছি বিরাজ করছে। অপর ইউক্রেনীয় কমান্ডার এবং সেনারা জানান, সেখানে সেনা ও সরঞ্জামের ঘাটতি ছিল। এছাড়া নেতৃত্বের সিদ্ধান্তগুলোতে ব্যর্থতা ছিল।
নতুন সেনা নিয়োগের পর এখন পর্যন্ত রণক্ষেত্রে নতুন সেনা পৌঁছায়নি। ‘বার্ট’ কল সাইনে পরিচয় দেওয়া এক সার্জেন্ট বলেছেন, ‘ফ্রন্টলাইনে গুরুতর বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে।’