অবৈধভাবে ৩১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির পর আবারও চাকরিচ্যুতির চেষ্টা রোধসহ বিভিন্ন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কুমুদীনি ফার্মার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শীর্ষ চার কর্মকর্তাকে অপসারণসহ সাত দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরে কুমুদীনি ফার্মা প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আন্দোলনরত কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন কোম্পানির শীর্ষ চার কর্মকর্তা। কোম্পানির ২৬ কোটি টাকা লোন হয়েছে এই কর্মকর্তাদের জন্য। আগে ডিস্ট্রিবিউশন খরচ ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ, মার্কেটে বকেয়া পড়ে ছিল ১২ কোটি টাকা। এই কোম্পানির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এস এন কৈরীর ফার্মাসিউটিক্যালসে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। এই পরিস্থিতে দীর্ঘ ২৩ থেকে ২৪ বছর লোকসান দিয়ে আসছে কোম্পানিটি।
মূল ধারার মার্কেটিং না করে কোম্পানিকে পথে নামিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন তারা। এসব কারণে কোম্পানিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারেননি আগের সিইও।
তারা আরও বলেন, কোম্পানির লোকসান কাটিয়ে উঠতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিব প্রসাদ সাহা কোম্পানিতে অলিক কৃষ্ণা রায়কে (সিইও) বিভাগ থেকে অন্যত্র সরিয়ে প্রশান্ত দাসকে নিয়ে আসেন। প্রশান্ত দাস সান ফার্মাসিউটিক্যালসের আফ্রিকার ১৬টি দেশের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি একজন সফল মার্কেটিয়ার। তিনি গতানুগতিক ধারার বাইরে চিন্তা করে ওষুধ কোম্পানিকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তার যোগদানের পর গত জানুয়ারিতে থেকে কোম্পানিতে লাভ করতে থাকে। ডিস্ট্রিবিউশন খরচ সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশে আসে। আগামী ডিসেম্বরে সাড়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসার টার্গেট দেন। বকেয়া ১২ কোটি টাকা উত্তোলনে চারটি এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে এক বছরে দুই কোটি টাকা উত্তোলন করে ফেলেন এবং আগে উচ্চ মূল্যে কাঁচামাল কেনা হতো। প্রশান্ত দাস এসে ভিন্ন ভেন্ডার থেকে একই মানের কাঁচামাল কম দামে কেনেন এবং প্রতিষ্ঠানকে লাভের মুখ দেখান।
আন্দোলকারীদের অভিযোগ, উচ্চমূল্যে কাঁচামালসহ অন্য সব ধরনের ওষুধ প্রস্তুতকারী কাঁচামাল বেশি অর্থে কিনে নিজেরা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রশান্ত দাসের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৩১ জনকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয় অভার টেলিফোনে। ক্যাটালিস্টা টিমকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১ জনকে চাকরিচ্যুতির পর টিমের অন্যদের ভিনটেজ টিমের সঙ্গে মার্জ করে দেওয়া হয়। মালিকের অদূরদর্শিতার সুযোগ নিয়ে এই চার কর্মকর্তা যা খুশি তা-ই করে যাচ্ছেন। এ কারণে তাদের পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে।