করোনা প্রাদুর্ভাবে দিনদিনই জনপ্রিয় হচ্ছে টেলিমেডিসিন সেবা। প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পেরে সন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ। গ্রাম পর্যায়েও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এর বিকল্প নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সরকারের সহযোগিতা পেলে উপজেলা পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতেও এই সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন দেশীয় সফটওয়্যার উদ্যোক্তারা।
যাটোর্ধ সেলিনা আক্তার। দীর্ঘদিন জ্বর, কাশি আর করোনা উপসর্গ থাকায় অনেক হসপিটাল ঘুরেও দেখা পাচ্ছিলেন না বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের। অবশেষে খোঁজ মেলে কাঙ্ক্ষিত ডাক্তারের। যেখানে প্রযুক্তির কল্যাণে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। সহযোগীতায় আছেন দুজন মেডিকেল অফিসার। ডাক্তাররা বলছেন, উদ্ভাবিত এসব পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারলে সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে না কোনো রোগী।
চিকিৎসকদের একজন ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘করোনা না যাওয়া পর্যন্ত আমাদরে এভাবেই রোগী দেখতে হবে। আর কোনো উপায় নেই। এভাবে দেখলে রোগীরাও সন্তোষ।’
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও রোগীর মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে টেলিমেডিসিন সেবাকে যুগান্তকারী বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
আলোক হেলতকেয়ার লি. ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. লোকমান হোসাইন বলেন, ‘এখ চিকিৎসকরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেনো আমাদের সেন্টারে এসে যেকোনোভাবে দেখাতে পারবে যদি আমাদের সফটওয়্যারের সাথে লিংকড থাকে।’
কমিউটি ক্লিনিকগুলোকে টেলিমেডিসিনের আওতায় আনতে পারলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব বলে মনে করেন সফটওয়্যার উদ্যেক্তারা।
মাইসফট লি. ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্লিনিকগুলো এবং সরকারি হাসপাতালের বড় চিকিৎসকদের যদি এই টেলিমেডিসিনের আওতায় যোগ করতে পারলে ভালো সেবা পাবে সবাই।’
রাজধানীতে ৪০ থেকে ৫০টি এবং সারাদেশে প্রায় শ’খানেক হসপিটালে ব্যবহৃত হচ্ছে টেলিমেডিসিন সেবা।