আর তো বাকি কিছুদিন। তারপরই মুক্ত আকাশে আবারো নিঃশ্বাস নেয়ার অনুমতি মিলবে সাকিব আল হাসানের। চাইলে মাঠেও নেমে যেতে পারবেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। আর তার জন্যই প্রস্তুতি নিতে, আসছে সপ্তাহে দেশে ফিরছেন সাকিব। এক বছরের নিষেধাজ্ঞার বাকি আরো দু মাস। তাই তো বিকেএসপিতে নিজেকে প্রস্তুত করার মিশন শুরু হবে সাকিব আল হাসানের।
কবে ফিরবেন সাকিব আল হাসান? কবে আবারো ব্যাট কিংবা বল হাতে শাসন করে বেড়াবেন ২২ গজ? করোনাকালে বাংলাদেশের ক্রিকেট ফেরা থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এখন এই প্রশ্নটা।
উত্তরটাও বেশ সহজ। ক’দিন আগেই দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। নিষেধাজ্ঞা উঠার পরদিন থেকেই মাঠে নেমে পড়তে পারবেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ।
কিন্তু, এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় মরচে পড়তে বাধ্য স্কিলে। ফিটনেসটাও থাকবেনা আগের সে অবস্থায়। তাই চাইলেও, মাঠে নেমে পড়াটা সহজ হবে না সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের জন্য। বাস্তবতাটা জানা আছে তারও। তাই তো, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার দু’মাস আগেই দেশে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। নিজেকে প্রস্তুত করার মিশনটা শুরু করতে চান আঁতুড় ঘর থেকে। যেখানে ফয়সাল থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন আজকের সাকিব।
মাঠে ফেরার আগে পুরো অনুশীলন পর্বটা চলবে সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-বিকেএসপিতে। আইসিসির নিয়ম মানতেই এ জায়গাটা বাছতে হয়েছে সাকিবকে। বিকেএসপির ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলের একটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সাবেক শিক্ষার্থীর জন্য। মাঠে ফিরে আসার প্রস্তুতি সারতে যত ধরণের সুবিধা প্রয়োজন, সব দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম এবং সালাউদ্দিন।
সাকিব চাইলে, শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকেই লাল সবুজের জার্সি গায়ে জড়াতে পারবেন। তাই, বিকেএসপির অনুশীলনে চোখ রাখবেন জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ও ফিটনেস কোচ ক্যালিফ্যাতিও।
আকসুর নির্দেশনা, লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকতে হবে সাকিবকে। অনুশীলন পর্ব সারতে হবে নীরবে। থাকতে পারবে না কোন মিডিয়া কাভারেজ।