গত বছরের ১৫ মার্চ সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫১ জন। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন দেশটিতে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। হামলাকারীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলে থাকা সদস্যরা।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টর্চাচের আল নুর মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের ওপর চালানো হয় নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। পরে আরো একটি মসিজদে চলে নির্বিচারে গুলিবর্ষন। ভয়াবহ ঐ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন অর্ধ শতাধিক। যার মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি ছিল। আহত হন অনেকে। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি করার সময় হামলার দৃশ্য সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচার করা হয়।
ঐ সময় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড সফররত বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মসজিদে যখন নির্বিচার গুলি চলছিল, বাংলাদেশ দলের বাস ছিল মসজিদের একেবারে কাছে। মাঠের সংবাদ সম্মেলন থেকে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বের হতে কিছুটা দেরি না হলে হয়ে যেতে পারত বিরাট সর্বনাশ। সেদিন কোনোভাবে বেঁচে ফিরে অঝোরে কেঁদেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এমন ঘটনায় বাতিল হয়ে যায় ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। সফর অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরে আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুঃসহ সেই স্মৃতি এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় তামিম-মুশফিকদের। সেই সিরিজটি কভার করতে যাওয়া ক্রীড়া সাংবাদিকদের স্মৃতিতে এখনও উজ্জ্বল দগদগে সেই ঘা।
ব্রেন্টন ট্যারেন্টনের চালানো নৃশংস হামলায় নিউজিল্যান্ডসহ পুরো বিশ্ব হতবাক হয়ে যায়। হামলার জেরে নিউজিল্যান্ড সব ধরনের সেমি-অটোমেটিক আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করাসহ বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
ক্রাইস্টচার্চের হামলাটি ছিল সুপরিকল্পিত। হামলার আগেই হামলাকারী টুইটারে ৭৩ পাতার ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন। ২০১১ সালে নরওয়ের অসলোতে অ্যান্ডারস ব্রেভিক নামে এক সন্ত্রাসীর হামলায় ৭৭ জন নিহত হয়েছিলেন। ঐ ঘটনা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে হামলা চালানো হবে বলে ৭৩ পৃষ্ঠার ইশতেহারে উল্লেখ হয়েছিল।