আনুষ্ঠানিকভাবে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা ২৯ অক্টোবর থেকে উঠে যাচ্ছে। ঐ সময়ের জন্য তীর্থের কাকের মতোই চেয়ে আছে দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। কিন্তু প্রশ্ন হলো। নিষেধাজ্ঞা শেষে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে কি খেলতে পারবেন। বাস্তবতা বলছে এ নিয়ে আছে বেশ শঙ্কা!
ফিক্সিংয়ের তথ্য গোপনের দায়ে গেলো বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দুই বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। কিন্তু দোষ স্বীকার করে নেয়ায় এক বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সংস্থা -আইসিসি ৷ আর মাত্র দুই মাসের অপেক্ষা তারপরই বাংলাদেশের ক্রিকেটের বরপুত্র ফিরবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মঞ্চে।
করোনা মহামারীর মধ্যে অনেক ভেবে চিন্তে প্রায় ৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে টাইগার ক্রিকেট। সব ঠিক থাকলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ২৪ অক্টোবর। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ২৯ অক্টোবর। তার পরের টেস্ট নিষেধাজ্ঞার শৃঙ্খলা ভেঙে যাবে। থাকবে না কোনোই বাঁধা। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টে সাকিবের খেলা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। কেন? কিভাবে? প্রশ্নগুলো এসেই যায়। তাই না। আসুন জানার চেষ্টা করি সাকিবের দ্বিতীয় টেস্ট খেলা নিয়ে কেন এতো ধোঁয়াশা….
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার সময়ে জাতীয় দলের সাথে অনুশীলন করতে পারবেন না, দলের সাথে থাকতে পারবেন না, জাতীয় দলের সার্বিক সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। টিম অনুশীলন তো প্রশ্নই আসে না, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সিরিজ চলা অবস্থায় টিমের সাথে মিশতে পারবেন না। তাহলে কিভাবে সাকিব দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামতে পারবেন??? প্রশ্নটা অনেকের মনে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কা সফর করবে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে। সাকিব তখন থাকবেন বিকেএসপিতে ব্যক্তিগত অনুশীলনে। লঙ্কা সফরে এইচপি দলের বিপক্ষে একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তামিম মুশফিকরা। আর সাকিব এক বছর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের এক্কেবারে বাইরে। কোন ম্যাচ না খেলেই কি এক মাসের ব্যক্তিগত অনুশীলনে ম্যাচ ফিট হয়ে উঠবেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ???
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল অক্টোবরের ২৪ তারিখে প্রথম টেস্ট খেলবে। খেলা পাঁচ দিন গড়ালে ২৮ অক্টোবর প্রথম টেস্ট শেষ হবে। তারপরের টেস্ট মাঠে গড়াতে অন্তত তিন দিনের বিরতি থাকবে। অর্থাৎ পহেলা নভেম্বরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামতে পারে। তখন সাকিবের নিষেধাজ্ঞা বাঁধা থাকবে না। কিন্তু এতো দিন দলের সাথে না থেকে কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেলেই দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমে পড়বেন সাকিব?
শঙ্কাটা আসলে এখানেই। যোগফল না মিললে যেমন অংক হয় না। ঠিক সাকিবের দ্বিতীয় টেস্টে প্রত্যাবর্তনের যোগফলও মিলছে না। সাকিবের মতো বিশ্ব সেরা পারফর্মারকে পেতে যেকোনো দলই মুখিয়ে থাকবে। কিন্তু ক্রিকেটীয় যুক্তি বলছে, সাকিব দ্বিতীয় নয়, তৃতীয় টেস্ট থেকে আবারও ফিরবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে!