তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যায়নি। করোনার কারণে প্রত্যাবাসনের সব প্রক্রিয়া থমকে আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে একে কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলতে নারাজ তিনি।
এদিকে, কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের জনগণের মধ্যে জনমত গড়ে তোলাসহ চীন এবং ভারতের সহযোগিতা চাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন করে ভাবতে হবে এখন।
২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। এবার তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় সাত লাখে। সব মিলিয়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে প্রত্যাবাসন চুক্তি করলেও একজনকেও ফিরিয়ে নেয়নি মিয়ানমার। এ পর্যন্ত ছয় লাখ রোহিঙ্গার তালিকা দেয়ার পর যাচাইবাছাই করে ৩০ হাজারের একটি তালিকা ফেরত দিয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু তাদেরকেও ফেরত নেয়নি তারা।
সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবীর বলছেন, ভারত এবং চীনের সাথে এ বিষয়ে সহযোগিতা চাওয়ার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আর মিয়ানমারের জনগণ যদি ইতিবাচক না হয় তাহলে প্রত্যাবাসন কঠিন হবে। তিনি বলেন, “চীন-ভারতের সাথে আমাদের দর কষাকষিটা আগের চেয়ে একটু সতেজ হয়েছে, যদি আমরা সেটা ব্যবহার করতে চাই।”
মিয়ানমারের অনিচ্ছার কারণেই প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়ন না হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া করোনার কারণে কিছু চলমান প্রক্রিয়া থমকে আছে বলেও জানালেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কর্ম প্রক্রিয়া একটু স্লথ হয়েছে। এর মূলে রয়েছে কভিড-১৯। তারা (মিয়ানমার) আরেকটা অযুহাত দেয়, ওই দেশে নির্বাচন হবে- তবে মনে হয় না তাদের কোনো আন্তরিকতা আছে। “রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একটি চলমান প্রক্রিয়া জানিয়ে তিনি বলেন, “এ প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে”।
আগামী নভেম্বরে মিয়ানমারে নির্বাচনের পর এবং আন্তজার্তিক আদালতে গাম্বিয়ার করা মামলার ফলাফল এলে এই চুক্তি নতুন গতি পাবে বলে দাবী করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী।