প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ঘাটে ফিরছে মাছ ধরার শত শত ট্রলার। এতে পর্যাপ্ত মাছ আনতে না পারায় লোকসান আতঙ্কে জেলেরা। দ্রুত আবহাওয়া অনুকূলে না এলে মাছের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা আড়ৎদারদের। তবে এখন পর্যন্ত সামুদ্রিক মাছের পাইকারি বাজার, বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত মাছের সরবরাহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে আবারও উত্তাল সমুদ্র। আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় মাছ নিয়ে নয়, জীবন বাঁচাতে ঘাটে ফিরছে শত শত ট্রলার। ৭০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ করে সমুদ্রে গিয়ে মাছ ভর্তি ট্রলার নিয়ে না ফিরতে পারায় হতাশ জেলেরা।
কয়েকজন জেলে জানান, দুই দিন মাছ ধরেছি; যে মাছ ধরেছি, এতে আমাদের খরচও উঠে আসবে না।
অন্য একজন জেলে জানান, ৩৬ হাজার টাকা খরচ করে মাছ ধরতে গেছি। কিন্তু মাছ বিক্রি করে ওই টাকা তুলতে পারিনি।
প্রতিটি ট্রলার থেকে সামান্য করে মাছ উঠলেও এক সাথে অধিক ট্রলার আসায় পাইকারি বাজার পূর্ণ সব ধরনের সামুদ্রিক মাছে। ফলে প্রভাব পড়েনি মাছের দামে।
পাইকাররা জানান, আবহাওয়া খারাপের কারণে মাছ কম হলেও খুব একটা প্রভাব পড়েনি। মাছের দামও বাড়েনি।
তবে আড়ৎদারদের আশংকা, দ্রুত আবহাওয়া অনুকূলে না আসলে কয়েকদিন পরই আবারো মাছশূন্য হবে মৎস অবতরণ কেন্দ্র।
বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশের মণ ৪০ হাজার থেকে ৪২ হাজার টাকা। আর ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকায়।