সিরিজের শিরোপা বিবেচনায় ম্যাচটি ছিল ডেড রাবার বা নিয়মরক্ষার। কেননা আগেই প্রথম দুই ম্যাচ জিতে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিল স্বাগতিক ইংল্যান্ড। ফলে শেষ ম্যাচে সফররত অস্ট্রেলিয়ার জন্য পাওয়ার ছিল সান্ত্বনার জয়। তবে শুধু সান্ত্বনার জয় নয়, অসিরা পেয়েছে আরও বড় পুরস্কার।
মঙ্গলবার রাতে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একইসঙ্গে দখলে রেখেছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে একদিনের জন্য র্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শেষ ম্যাচ হারায় ফের নিচে নেমে গিয়েছে তারা।
সিরিজ শুরুর আগে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে ছিল ইংল্যান্ড এবং শীর্ষে ছিল অস্ট্রেলিয়া। সমীরকণটা এমন ছিল, যদি তিন ম্যাচ সিরিজে অসিদের হোয়াইটওয়াশ করতে পারে ইংল্যান্ড, তাহলে তারাই হবে নতুন এক নম্বর দল। অন্যদিকে অন্তত একটি ম্যাচ জিতলেই শীর্ষস্থান নিজেদের দখলেই রাখবে অস্ট্রেলিয়া।
এমন সমীকরণ মাথায় রেখে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ দুইটি জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। সমান ২৭৩ রেটিং তবে পয়েন্টে এগিয়ে থাকায় র্যাংকিংয়েও এক নম্বরে উঠে গিয়েছিল তারা। কিন্তু র্যাংকিংয়ের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণের ম্যাচে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে এখন ২৭৫ রেটিং নিয়ে শীর্ষে তারাই। অসিদের চেয়ে ৪ রেটিং কম নিয়ে দুই নম্বরে রয়েছে ইংল্যান্ড।
শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে বিনিময়ে ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টো। সমান ৩টি করে চার ও ছয়ে সাজানো ইনিংসে তিনি মোকাবিলা করেছেন ৪৪টি বল।
এছাড়া ডেভিড মালান ১৮ বলে ২১, মঈন আলি ২১ বলে ২৩ ও শেষদিকে জো ডেনলি খেলেন ১৯ বলে ২৯ রানের ক্যামিও। অসিদের পক্ষে বল হাতে ২ উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। এছাড়া ১টি করে শিকার মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, কেন রিচার্ডসন ও অ্যাশটন অ্যাগারের।
১৪৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করা খুব একটা সহজ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার জন্য। তাদের খেলতে হয়েছে ১৯.৩ ওভার পর্যন্ত, সাজঘরে ফিরেছেন ৫ ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ২৬ বলে ৩৯ রান করে শুরুর ঝড়টা এনে দিয়েছিলেন। এছাড়া মার্কস স্টয়নিস ১৮ বলে ২৬ রান করেন।
রান পাননি ম্যাথু ওয়েড (৯ বলে ১৪), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১ বলে ৬) ও স্টিভেন স্মিথ (৪ বলে ৩)। তবে মিচেল মার্শ ও অ্যাশটন অ্যাগারের ব্যাটে জয় নিশ্চিত হয়েছে অসিদের। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটি গড়ার পথে মিচেল মার্শ করেছেন ৩৯ রান, অ্যাগারের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
এই ম্যাচ জিতলেও সিরিজের শিরোপা গেছে ইংল্যান্ডের ঘরেই। শেষ ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন মিচেল মার্শ এবং সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার।