নতুন মৌসুমের আগেই করোনার থাবায় কাবু হতে হয়েছে পিএসজির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়রকে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় থাকতে হয়েছিল দর্শক হয়ে। একই কারণে ছিলেন না এমবাপ্পে, ডি মারিয়া, পারেদেসসহ আরও ৭ জন ফুটবলার। ফলে লেন্সের কাছে ১-০ গোলে হারের তিক্ততা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন সবাই। প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ে জিতে দ্বিতীয় ম্যাচেই মাঠে ফিরেছেন নেইমার, ডি মারিয়া এবং লেওনার্দো পারেদেস। তবে দলকে বাঁচাতে পারেননি। বেরিয়ে আসতে পারেনি হারের বৃত্ত থেকে। লেন্সের চেয়ে তুলনামূলক শক্তিশালী মার্শেইর কাছেও একই ব্যবধানে হেরেছে লিগ ওয়ানের হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়নরা।
তবে এই ম্যাচটি নেইমারের জন্য আরো বেশি নেতিবাচক হয়ে থাকবে। মাঠের পারফরমেন্সের ছাপিয়ে ম্যাচ শেষের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বড় ক্ষতি হয়েছে তারই। ম্যাচ তো হেরেছেন, সাথে লাল কার্ডও দেখেছেন। শুনেছেন বর্ণবাদী গালি। যার ফলে এক ম্যাচ বসে থাকতে হবে ডাগআউটে।
ঘটনা ম্যাচ শেষ হওয়ার সময়। ম্যাচের ৩১ মিনিটের সময় ফ্লোরিয়ান থাউভিনের করা গোলে ততক্ষণে জয় নিশ্চিত মার্শেই। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের খেলোয়াড়রা। যা থামাতে বেশ বেগ পেতে হয় রেফারিকে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অভিযোগকারী খেলোয়াড়কে মাথার পেছন দিকে থাপ্পড় দিয়েছেন নেইমার। এ অপরাধে ম্যাচ রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান নেইমারকে। এরপর মাঠ ছেড়ে যান নেইমার। ঠিক তখনই পেছন থেকে নেইমারকে বর্ণবাদী গালি দিতে থাকেন গঞ্জালেজ।
পরে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ তোলেন নেইমার। তিনি অভিযোগ তুলে লেখেন, ‘আমার অপরাধ ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা গেছে, কিন্তু আমাকে অশ্লীল ও বাজে গালি দিয়েছে। তার কি হবে?’